মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলার বিচার শুরু করছে দেশটির জান্তা সরকার।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে বর্তমানে কারাগারে থাকা সু চির বিরুদ্ধে।
১৪ ফেব্রুয়ারি সেই বিচার শুরু হবে। একটি সূত্র আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
মিয়ানমারে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার।
সেনাশাসনের পর থেকে গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
এরই মধ্যে একাধিক মামলায় সু চির স্বল্প সময়ের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে।
২০২০ সালে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সেনাসমর্থিত দলকে পরাজিত করে ক্ষমতায় বসেছিল।
সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরই মধ্যে সু চির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উসকানি, কোভিডবিধি ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানিসহ নানা অভিযোগের দুটি মামলায় তার আট বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে।
পরে একটি মামলায় তার দণ্ড চার বছর থেকে কমিয়ে দুই বছর করা হয়।
জান্তা সরকার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বিষয়ক আইন লঙ্ঘনসহ আরও একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছে সু চির বিরুদ্ধে।
সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।