নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের পা হারানোর মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মামলা করার ১৫ দিনের মাথায় বনানী থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে একবার যোগাযোগ করা হলেও, এরপর আর খোঁজ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া একাধিক মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের কথা বলা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁদের।
গতকাল বুধবার বিকেলে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের ছোট ভাই মৃত্যুঞ্জয় হাজং আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, কোনো প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাঁরা শুধু ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তদন্তের পর আইন অনুযায়ী যা করণীয় তাই করা হবে। আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সব কাজ গুছিয়ে আনা হচ্ছে। তবে মামলার চার্জশিট দিতে সময় লাগবে।
এদিকে গতকাল সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের দুই পায়ের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা ভালোর দিকে।
তবে কিছুটা সুস্থ হলে আবারও তাঁর দুই পায়ে দুটি অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হবে। মনোরঞ্জন হাজংকে বারডেম হাসপাতালের কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন মনোরঞ্জন হাজং।
দুই দফা অস্ত্রোপচারে তাঁর ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়।
মনোরঞ্জনের একমাত্র মেয়ে ডিএমপির সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের অভিযোগ, ঘটনার পর লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক সাঈদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বনানী থানা তাঁকে ফিরিয়ে দেয়।
পরে অবশ্য মামলা নেওয়া হয়। এই মামলার দুই দিন আগেই ওই গাড়ির চালকের একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে পুলিশ। দুটি ঘটনারই তদন্ত চলছে।
মামলার তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেই রাতে বিমানবন্দর সড়কের ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে উল্টো পথে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন মনোরঞ্জন হাজং।
তখনই দ্রুত গতিতে আসতে থাকা ওই বিএমডব্লিউ গাড়িটি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।