রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের চাগলিয়া কাটায় ডোবা ও বিলে ফাঁদ পেতে দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকার করে আসছে এক দল শিকারী চক্র।
ফাঁদে প্রতিদিন ধরা পড়ছে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাগলিয়া কাটা ও কাঠালিয়া পাড়ায় রয়েছে অসংখ্য ডোবা ও বিল।
এখানে কয়েকটি স্থানে ফাঁদ পাতা রয়েছে। পাখি ধরতে কট আর নাইলনের সুতা দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে।
পানিতে কিংবা পানি থেকে এক থেকে দেড় হাত উঁচুতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। এখানে আটকে যায় পাখি।
ফাঁদে ধরা পড়া এক জোড়া সাদা বক ৩০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাঠালিয়া পাড়ার ডোবা ও বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র।
সারা বছরের চেয়ে শীতের মৌসুম আসলে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বিচরণ বেড়ে যায়।
এ বিলে বক, জল হাঁস, জল পিঁপি, ডাহুক ও মাছরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।
এ বিষয়ে পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, পাখির আবাসস্থল ও বিচরণ ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে।
কীটনাশকের ব্যবহার এবং অবাধে পাখি শিকারের কারণে দিন দিন পাখির সংখ্যা ও প্রজাতি কমছে।
পাখি রক্ষায় আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে।