আপনি কি পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। আমার বাসায় একজন কাজের মেয়ে রয়েছে।
তার ভরণপোষণ এবং বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। একটি ভালো ছেলে পেয়েছি ওই কাজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য।
এজন্য ছেলেটিকে পুলিশের কনস্টেবল পদে একটি চাকরি দিতে হবে।
আমি ছেলেটির তথ্য পাঠালাম। ওর জন্য কনস্টেবল পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেবেন।
গত ৭ নভেম্বর এভাবেই পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমা আক্তার (৩২) নামে এক কথিত নারী টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের ব্যক্তিগত মোবাইলে কথাগুলো বলেছিলেন।
এরপর পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ওই নারী একজন প্রতারক।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুমা আক্তার বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আসলাম মিয়ার স্ত্রী।
টাঙ্গাইল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, গত ৭ নভেম্বর বেলা ১১টা ৭ মিনিটের দিকে ওই নারী টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের (এসপি) মোবাইলে কল করে নিজেকে আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দেন।
এরপর তিনি পুলিশের কনস্টেবল পদে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চাপ দেন এবং ১১টা ২৪ মিনিটে মোবাইলের এসএমএসে ওই প্রার্থীর তথ্য পাঠান।
এ নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আঁটিবাজার ঘাটারচর এলাকায় ওই নারী প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে ওই প্রতারক রুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুমার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রুমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আলম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য তদবির করায় সন্দেহ হয়।
পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় পরিচয়দানকারী ওই নারী একজন প্রতারক।