ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে জাহাজের সুকানি নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও সাত শ্রমিক।
আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে ফলে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। যে কোনো সময় জাহাজটি ডুবে যেতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিনরুমে পাম্প মেশিন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে ওই রুমে আগুন ধরে যায়। এ সময় আগুনে আটজন শ্রমিক দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে সুকানি কামরুল ইসলাম (৩৫) ঘটনাস্থলেই মার যান। কামরুলের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলায়।
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মী আব্দুস সালাম জানান, সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজটি প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে।
বুধবার পদ্মা ডিপোতে পেট্রোল খালাস করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজটি সুগন্ধ্যা নদীর দক্ষিণ পাড়ে নোঙর করে রাখা হয়।
শুক্রবার ডিজেল খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের তলা ফেটে ধীরে ধীরে জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। ভেতরে থাকা প্রায় ৯ লাখ লিটার ডিজেল অন্য একটি জাহাজে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির সুপার মো. আখের আলী বলেন, আমি ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলাম।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছি।