বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল জানান, তাদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা নেই।
তবে গঠনতন্ত্র অনুসারে তাকে (নান্নু) সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ২ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নান্নুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এখানে সোনাতলায় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সভাপতি মৃত সামসুল হক খানের ছেলে শাহিদুল বারী খান রব্বানীকে নৌকা দেওয়া হয়।
গতবারের মতো জাহাঙ্গীর আলম নান্নু এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হন।
রব্বানীর মনোনয়ন বাতিলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
বরং তাকে নির্বাচিত করতে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী নান্নুসহ সোনাতলা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের আবেদন করা হয়।
সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রে এ আবেদন পাঠান।
এ ঘটনায় নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।
নির্বাচনের আগের দিন সোমবার জাহাঙ্গীর আলম নান্নুকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল জানান, গঠনতন্ত্র অনুসারে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলে তাকে দল বহিষ্কার করা হয়।
জেলা কমিটির এ ক্ষমতা না থাকায় সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নান্নুকে সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এ পৌরসভায় মেয়র পদে শাকিল রেজা বাবলা স্বতন্ত্র আদলে বিএনপির প্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নান্নু জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাকে অব্যাহতি প্রদানের ব্যাপারে কোনো চিঠি হাতে পাননি।
নির্বাচনের আগের দিন দলের এ সিদ্ধান্তে তিনি হতবাক হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাকে অব্যাহতি দেওয়ায় জনগণের ভোটে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে তিনি প্রশাসনিক অযাচিত হস্তক্ষেপের ভয় করছেন।