কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশের ফেলে রেখে গেছেন বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় দুদিন ধরে মানুষ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ পথে চলাচল করা সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তবে রাস্তায় কাঁচা চামড়া ফেলে রাখায় জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হলেও অপসারণে সীমানা জটিলতা অজুহাত দেখানো হচ্ছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) ও সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে পড়ে আছে প্রায় শতাধিক কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে এবার ধরা খেয়েছেন। চামড়ার দাম এতটাই কম যে কেউ কেউ বিক্রিই করতে পারেননি। অনেক মাদরাসা কর্তৃপক্ষ চামড়া সংগ্রহ করলেও বিক্রি করতে না পেরে মাটি খুঁড়ে সেগুলো চাপা দিয়েছে। তবে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তা না করে চামড়াগুলো এই সড়কের পাশে এনে ফেলে গেছেন। এতে করে দুর্গন্ধে মানুষের অসুস্থ হবার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশেরও বিপর্যয় ঘটছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, আমার কাছে আরও কয়েকজন এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার লোক পাঠিয়েছি। লিংক রোডে যেখানে চামড়া ফেলা হয়েছে সেটা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে পড়েছে। তারা কিছুতেই দায় এড়াতে পারে না। তারপরও ঘটনাস্থলে যাব এবং মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যা করা দরকার তাই করার চেষ্টা করব।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী (সিইও) এহতেশামুল হক জানান, এটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাইরে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনের জায়গায়। তবে তারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চায়, আমরা সহযোগিতা করব। এটার পাশেই নম পার্ক ও ফতুল্লা স্টেডিয়াম কিন্তু এগুলোতে তো আমাদের নাসিকের কোনো হোল্ডিং নম্বর নেই। আমরা আমাদের সীমানা সম্পর্কে অবহিত রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে কোনো আবর্জনা নেই। থাকলে আমাকে জানান আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা পরিষ্কার করে দেব।